যে লক্ষণগুলো দেখলে আমরা বুঝতে পারবো চিনি খাওয়া বন্ধ করা অত্যাবশ্যকীয়
চিনি
অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। সেখান থেকে আসে অনেক সমস্যার
সৃষ্টি হয়। হতে পারে ওজন বাড়া-কমা, হঠাৎ ক্লান্ত লাগা এসব
নানারকম সমস্যা চিনি বেশি খাওয়ার কারণে।
চিনির পরিমান অত্যন্ত বেশী থাকে পছন্দের যে কোনও খাবারেই, তা সে হোক চকোলেট কিংবা চিংড়ির মালাইকারি।
আবার অধিকাংশজনের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকে আইসক্রিম, রসগোল্লা, বিরিয়ানি, মাটন, পোলাও, ইলিশ, চিংড়ি, পাস্তা, - লোভনীয় এসব খাবার। আর শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক কিন্তু এই সব
খাবারই। বিশেষ করে পোলাও, মাটন আর রসগোল্লা। কারণ এইসব খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ চিনি আর এই
চিনির প্রভাব কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যেই পড়ে । আর বিভিন্ন ক্ষতি হয় আমাদের শরীরের
অভ্যন্তরে। কিন্তু আমরা সহজে তা ধরতে পারি
না।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে একজম পূর্ণবয়স্ক মানুষ ২৫ গ্রামের বেশি
চিনি প্রতিদিন খাওয়া ঠিক নয়। এর চেয়ে বেশী পরিমাণে খেলেই দেখা দেয় একাধিক
স্বাস্থ্য সমস্যা। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাঁরা দিনে ৬ চামচ চিনি খান এবং
সারাদিনে ৩৬ গ্রামের বেশি চিনি খান। আর অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে শরীরে বেশি
পরিমাণ ক্যালোরিও যায়।
চিনির পরিমাণ কমাতে হলে প্রথমেই তালিকা থেকে বাদ দিন কোল্ড ড্রিংক যেটা অনেকের
কাছে খুব প্রিয় একটি পানীয়। সেই সঙ্গে একেবারে বন্ধ করতে হবে চায়ে মিষ্টি খাওয়াও।
পরিবর্তন আনুন রোজকার খাদ্যাভ্যাসেও । কারণ চিনি খাওয়া যদি না কমান তাহলে কোনও
ভাবেই চর্বি ঝরাতে পারবেন না। প্রয়োজনে কথা বলুন ডায়াটেশিয়ানের সঙ্গে । চলুন জেনে
নেই আপনি কখন বুঝবেন আপনার চিনি খাওয়া ছাড়ার সময় এসে গেছে-
শরীরের ওজন বাড়া বা কমাঃ
শরীরের ওজন স্থির নেই, যেমন তিন মাস আগে ওজন বাড়লে তিনমাস পর তা য়াবার কমে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই শরীরে চর্বি জমে যাচ্ছে। এই সব সমস্যার মুল কারণই হলো অতিরিক্ত চিনি খাওয়া। চিনি বেশি খেয়ে ফেলছেন হয়তো নিজের অজান্তেই । আর চিনি বেশি খাওয়ার ফলে এই সব সমস্যা আসবেই। যে কারণে মিষ্টি, চিজ, চকোলেট, মিষ্টি পানীয় যতটা কম এড়িয়ে যাওয়া যায় ততটাই শরীর ও
স্বাস্থের জন্য ভালো।
ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব দিনের বেলায়ঃ
শরীর দিনের বেলাতেও ক্লান্ত ও অবসাধ লাগছে। কোনও রকম এনার্জি পাচ্ছে নাকাজ
করার সময় । তবে এই সমস্যা যে শুধুমাত্র সুগার থাকলেই হয় তা কিন্তু নয়; তাঁদেরও এই সমস্যা হতে পারে যাঁরা অতিরিক্ত চিনি খান । আর এই সব সমস্যা
থেকেই কিন্তু পরবর্তীতে আসে সুগারের সমস্যা। অবশিষ্ট থাকে না শরীরের জন্য
প্রয়োজনীয় শক্তিও ।
ঘুম ঠিক মতো না হওয়াঃ
দিনে ৩-৪ ঘন্টার মতো ঘুম, দিনের পর দিন ইনসমনিয়ার সমস্যা, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া এরকম হলে বুঝতে হবে
শরীরে কোনও সমস্যা হচ্ছে। আর এটা কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিনি খাওয়ার জন্য হয়।
আর তাই শরীর ও স্বাস্থের জন্য আপনাকে চিনি খাওয়ার লোভ সামলাতে হবে।
ত্বকের নানারকম সমস্যাঃ
হঠাৎ করে ত্বকে কোন সমস্যা হওয়া বা ত্বকে ছোপছোপ দাগ পড়া কিন্তু মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। এটা কিন্তু হতে পারে চিনি অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য। হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না যদি সুগার বাড়ে বা চিনি বেশি খাওয়া হয় । তখন পায়ের পেশিতে অথবা ঘাড়ের পাশে এই রকম ছোপ পড়ে যায়।
নোটঃ আমাদের লেখাটি শুধুমাত্র তথ্যের
জন্য, এটা কোন ধরণের ওষুধ বা
চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোন মন্তব্য নেই