যে কয়টি মসলা ক্যান্সারের যম বলে মনে করা হয়
মসলাযুক্ত খাবার আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি; খাবারে ব্যবহৃত বিভিন্ন মসলা বিভিন্ন স্বাস্থ্যগুণ আছে।চলুন আজ আমরা জেনে নিই কয়েকটি সবজি ও মসলার নাম যেগুলো ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
১। আদাঃ
ঝাঁঝালো সাদের খাদ্য উপাদান আদা দেহে ক্ষতিকারক
কোরেস্টেরল কমায়, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এর উপাদান যুদ্ধ করে, এবং বিপাক ক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত
করে। আদা যেকোন খাবারের স্বাদ বাড়ায়।
২। কাঁচামরিচ ও ক্যাপ্সিকামঃ
ঝাল স্বাদের এই কাঁচামরিচে রয়েছে অ্যান্টি-ক্যান্সার
উপাদান। চিকিৎসকরা আবার অতিমাত্রায় ঝাল খেতে নিষেধ করেন। আর ক্যাপসিকাম লিউকোমিয়া টিউমারের
কোষকে বাড়তে বাধা দেয়।
৩। দারুচিনিঃ
দারুচিনি টিউমার বাড়তে বাধা দেয়। দৈনিক অর্ধেক
চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া খেয়েই ক্যান্সারমুক্ত থাকা যায় বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।
৪। ওরেগানোঃ
পিৎজা বা পাস্তার স্বাদ বাড়ানোর জন্য ওরেগানো
ব্যাবহার করা হয় যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের
বিরুদ্ধে কাজ করে । মাত্র এক কাপ ওরেগানোতেযে পরিমান সাইটো-কেমিক্যাল ‘কোয়ারসেটিন’ রয়েছে তা ক্যান্সার
ঘটায় এমন রোগ প্রতিরোধে কাজ করার জন্য যথেষ্ঠ।
৫। হলুদঃ
মসলার রাজা বলা যেতে পারে হলুদের গুড়াঁকে।
হলুদের গুঁড়া কেবল স্বাদই বাড়ায় না, এতে বিদ্যমান পলিফেনল স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার,
প্রোস্টেট ক্যান্সার, মেলানোমা, লিউকোমিয়ার বিরুদ্ধে দারুণ কার্যকর।
৬। জাফরানঃ
জাফরানে বিদ্যমান প্রাকৃতিক ক্যারোটেনয়েড
ডিকার্বোক্সাইলিক এসিড যার নাম ‘ক্রোসেটিন’ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে খুব কার্যকর
ভুমিকা পালিনে সক্ষম। অল্প সময়েরমধ্যেই জাফরান টিউমারের আকারকে প্রায় অর্ধেক করে দিতে
পারে।
৭। জিরাঃ
এই মসলাটি হজমে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
পেটপুরে খাওয়ার পর অসসস্থি এড়াতে এক চিমটি জিরা মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন, সস্থি পাবেন।
জিরায় বিদ্যমান ‘থাইমকুইনন’ উপাদান প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিহত করে।
৮। ফেনেলঃ
সাইটো নিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই খাবারটি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
কোন মন্তব্য নেই